গত মাসে এই দুই কুকুরের মৃত্যু হয় ঝাড়খণ্ড রাজ্যে। ১৭ জানুয়ারি রাজ্যের লাতেহার ও ২৪ জানুয়ারি বিজাপুরে জঙ্গলে বিস্ফোরকের তল্লাশি চলাকালীন হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়।
উন্নত জাতের দুটি প্রাণীর মৃত্যুতে নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে; চিন্তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা জানতে দেশটির কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী সিআরপি কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। বহুল ব্যবহৃত দুটি প্রাণী মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় কীভাবে বিস্ফোরণে মারা গেলো, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
বেলজিয়ান ম্যালিনোয়া প্রজাতির ওই কুকুর অন্য যেকোনো ‘স্নিফার ডগের’ তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। মার্কিন ‘নেভি সিলস’ বাহিনীর কাছে থাকে এমনই প্রশিক্ষিত সারমেয়। ওসামা বিন লাদেনকে ধরার অভিযানেও অংশ নেয় বেলজিয়ান ম্যালিনোয়া। সিআরপি কর্তারা জানান, ওই প্রজাতির কমান্ডো কুকুর এক লাফে ৬ ফুটেরও বেশি উঁচু দেওয়াল লাফিয়ে উঠতে পারে। বিস্ফোরক চিনতে তাদের জুড়ি মেলা ভার। পরিশ্রম করে জার্মান শেফার্ড, ল্যাব্রাডরদের থেকে কয়েক গুণ বেশি। ২৪ সপ্তাহের কঠোর প্রশিক্ষণের পর তাদের কমান্ডো বাহিনীতে যুক্ত করা হয়। ইতোপূর্বে অনেক সৈনিককে বাঁচাতে অনামিকা, প্লুটোর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
আইএ