এর আগে এক নির্বাহী আদেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও সিয়াটলের একজন বিচারক সে আদেশ স্থগিত করেন।
পরে সে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আপিল আদালতে গেলে সেখানেও স্থগিতাদেশ বহাল থাকলো।
আপিল আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল সর্বসম্মতভাবে ওই স্থগিতাদেশই বহাল রাখলেন । এর ফলে মুসলিম অধ্যুসিত ইরাক, ইরান, সিরিয়া, লিবিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে কোনও বাধা থাকলো না।
বিচারকরা তাদের রায়ে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকদের জাতীয় নিরাপত্তা ও তাদের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নীতি নির্ধারণী ক্ষমতা নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহ রছে, তবে একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রে কারো সফর থাকবে অবাধ সেটাও এ দেশের নাগরিকরা চায়। যাতে পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে না যা, আর তারা কোনও বৈষম্যের শিকার না হন এটাও নাগরিকদেরই প্রত্যাশা। জনগণের প্রত্যাশাকে এর চেয়ে সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন নেই জানিয়ে রায়ে বলা হয়... প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশেই বহাল থাকবে।
কেন্দ্রীয় আদালতের এই সিদ্ধান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জন্য একটি বড় চপেটাঘাত বলেই মত দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ওভাল অফিস থেকে নির্বাহী আদেশ দিয়ে যেসব কাজ করে ফেলার জন্য ট্রাম্প অনেকটা মুখিয়ে রয়েছেন, সেগুলোর বিষয়ে এখন ভাবতে হবে।
এদিকে এখনো হাল ছাড়েননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতে শেষ লড়াই পর্যন্ত দেখে নেবেন এমন হুমকিই দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় আদালতের সিদ্ধান্ত জানার পরপরই এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘তোমাদের সঙ্গে আদালতেই দেখা হবে... দেশের নিরাপত্তা এখন দারুণ ঝুকিতে। ’
দেশটির বিচার বিভাগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশটি পর্যালোচনা করে দেখছে বলে আগেই একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাহী আদেশে উপরোক্ত সাতটি দেশের নাগরিকদের জন্য ৯০ দিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে এবং কোনও দেশের শরণার্থীদের জন্য আগামি ১২০ দিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। গত ২৭ জানুয়ারি এই নির্বাহী আদেশ জারি করা হলে তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। দেশজুড়ে বিক্ষোভ, র্যালি চলতে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এর বিরুদ্ধে মামলাও হয়। কিন্তু গত শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সিয়াটলের কেন্দ্রীয় বিচারক জেমস রবার্ট ওই নির্বাহী আদেশ স্থগিত করেন। কেন্দ্রীয় আদালত সে স্থগিতাদেশই বজায় রাখলেন।
বাংলাদেশ সময় ০৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এমএমকে