বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দু’জনের মধ্যে ফোনালাপ হয়। গত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ওঠার পর এই প্রথম বিশ্ব অর্থনীতির মূল শক্তি দেশ দু’টির প্রধান নেতার মধ্যে কথা হলো।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতের ফোনালাপে দুই নেতা অনেক বিষয়ে আলাপ করেন। এরমধ্যে শি ‘এক চীন’ নীতি প্রশ্নে সমর্থন জানানোর অনুরোধ করলে ট্রাম্প একমত হন। তিনি ‘এক চীন’ নীতির প্রতি নিজের সম্মানের কথাও জানান।
‘এক চীন’ নীতি হলো তাইওয়ানকে ‘অখণ্ড’ চীনের অংশ মনে করা। কিন্তু তাইওয়ানিজরা এর বিরুদ্ধে। ১৯৭২ সালে চীনের সেসময়কার নেতা মাও সে-তুংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের এক সমঝোতায় ‘এক চীন’ নীতির প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের কথা বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯ সাল থেকে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই যুক্তরাষ্ট্রের।
এরপর থেকে এতো বছর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টও ‘এক চীন’ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। কিন্তু সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সঙ্গে কথা বলে ওয়াশিংটনের অবস্থান বদলের ইঙ্গিত দেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বেইজিংয়ের পরামর্শ-আবদার মানতে বাধ্য নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে বেইজিং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হোয়াইট হাউসকে জানিয়ে দেয়, দু’পক্ষের সম্পর্কের ভিত্তি এই ‘এক চীন নীতি’ই।
সেই হুমকিতেই যেন গলে গিয়ে বৃহস্পতিবার সুর বদলে ফেললেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতা অত্যন্ত আন্তরিক আলাপের পর একে অপরকে স্বদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এই বৈঠকের পর দুই দেশের প্রতিনিধিরা দু’পক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে শিগগির আলাপে বসবে বলেও জানানো হয় হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এইচএ/
আরও পড়ুন
** চীনের প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের চিঠি