চলতি সপ্তাহে চারটি রাজ্য থেকে ওই অভিবাসীদের আটক করা হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগের লস অ্যাঞ্জেলেস অফিসের পরিচালক ডেভিড মারিন জানান, আটলান্টা, নিউইয়র্ক, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেস ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়েছে।
কতোজনকে ঠিক ধরা হয়েছে তা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগ না বললেও ৩ রাজ্যের নিয়ন্ত্রক বিভাগটির আটলান্টা শাখা অফিস জানিয়েছে, কেবল তারাই আটক করেছে ২০০ জন। সে হিসেবে আটক অভিবাসীদের সংখ্যা যে বেশ কয়েকশ’ তা বলাই যাচ্ছে।
সপ্তাহ দুই আগে ৭টি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্ক আর সমালোচনার প্রেক্ষিতে ওই আদেশ বাস্তবায়ন আদালতে স্থগিত থাকলেও এ নিয়ে অভিবাসী জনপদে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরমধ্যেই এ অভিবাসীদের আটকের খবর এলো।
এ ঘটনা অভিবাসীদের মধ্যে আরও ভীতির সৃষ্টি করবে জানিয়ে জাতীয় অভিবাসন ফোরামের নির্বাহী পরিচালক আলী নুরানী বলেন, অভিবাসীদের ঘরে ঘরে এমনিতেই ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমনকি যে আমেরিকানরা অভিবাসীদের নিজেদের বন্ধু ও পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন তারাও আতঙ্কিত। এরমধ্যে অভিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় অভিযানের ঘটনা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
এই ধরপাকড়ের খবরে লাস ভেগাসের ইউনিভার্সিটি অব নেভাদার ইমিগ্রেশন ল বিভাগের অধ্যাপক মাইকেল কাগান বলেন, এই ধরপাকড়ক অভিবাসন বিষয়ক অ্যাডভোকেটদের উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে। কারণ এটা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীন অভিবাসীদের স্বদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার শুরু বলে দেখা যাচ্ছে, যেটা পরে আরও বাড়তে।
এই ধরপাকড়ের খবরের প্রেক্ষিতে অবশ্য অভিবাসীদের আতঙ্কিত না হয়ে শান্তভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিচ্ছেন আইনজীবীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এইচএ/