আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। অনেক আহতকে হেলিকপ্টারে করে ১৯৩ কিলোমিটার দূরবর্তী করাচি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিন্ধু প্রদেশের পুলিশের আইজি এ ডি খাজা।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে জানায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।
খবরে বলা হয়, সিন্ধু প্রদেশের সেহ্ওয়ান শহরে সুফি সাধক লাল শাহবাজ কলন্দরের মাজারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলার সময় এই নৃশংস হামলা চালানো হয়।
সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিকান্দার মান্দ্রো জানান, ওই মাজারে অনুষ্ঠান চলার সময় পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা ও উদ্ধারকর্মীরা গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
সেহ্ওয়ান পুলিশের একজন এএসপি জানান, হামলাকারী দুর্বৃত্ত মাজারটির ‘গোল্ডেন গেট’ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। ঢোকার পরপরই সে প্রথমে একটি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর সে তার শরীরে বাঁধা শক্তিশালী একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ভক্ত ও আশেকানরা আধ্যাত্মিক ধামাল গান উপভোগ করেছিলেন।
বিস্ফোরণের পরপরই সেখানে এক নারকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়। চারপাশে রক্ত, আহাজারি আর আহত-নিহতদের ছিন্নভিন্ন দেহাংশ ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে প্রাথমিকভাবে ৫০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি জানায় পুলিশ। পরে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮০ জনে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা হচ্ছে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী অংশ নিয়েছে।
সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সাঈদ মুরাদ আলি শাহ সবাইকে শান্ত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সবাইকে উদ্ধারকাজে সহায়তারও আহ্বান জানান।
** পাকিস্তানে মাজারে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ৭০, আহত ১৫০
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
টিআই