প্রায় বছর দুই আগে পিয়ারসন গ্রুপের কাছ থেকে পত্রিকাটি কেনার সময় তুমুল ঢাকঢোল পেটায় নিকেই। এরপর ঘোষণা অনুযায়ী ‘ঢেলে সাজিয়েও’ মুদ্রণের গতি করতে পারলো না।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সম্পাদকীয় বিভাগে বিশ্বজুড়ে ৬০০ কর্মী কাজ করেন। এই কর্মীদের আপাতত ৩ শতাংশকে বিদায় বলে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কেবল তাই নয়, কেউ যদি এখন ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ছেড়ে যায়, তার পদও পূরণের কোনো চিন্তা করছে না পত্রিকাটির কর্তৃপক্ষ।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের মুখপাত্র ক্রিস্টিনা এরিকসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেউ যদি স্বেচ্ছায় এখন পত্রিকা ছাড়তে যায়, তবে তাদের সহযোগিতা করবে কর্তৃপক্ষ। আপাতত তাদের স্থলাভিষিক্তও কাউকে করার ইচ্ছে নেই।
এ খবর দেওয়া সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনলাইন নিউজপোর্টালের সঙ্গে বিজ্ঞাপন বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকছে না মুদ্রণ মাধ্যম। এটা কেবল ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকেই ভোগাচ্ছে না, ভোগাচ্ছে অন্য পত্রিকাওয়ালাদেরও।
ম্যাগনা গ্লোবাল নামে একটি গবেষণা সংস্থার এক পরিসংখ্যান দিয়ে ব্লুমবার্গ জানায়, ২০০৫ সালে মুদ্রণ পত্রিকাগুলোতে প্রায় ৪ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের বিজ্ঞাপন গিয়েছিল। অনলাইন এমন ঝাপটা দিয়েছে যে ৯ বছরের মধ্যে এই অংক ৭৫ শতাংশ কমে ঠেকে গেছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। এই অবস্থায় ম্যাগনা গ্লোবাল মনে করছে, ২০২০ সালে নামেমাত্র বিজ্ঞাপন পাবে মুদ্রণ পত্রিকাগুলো, সে অংক আবার সর্বোচ্চ থাকতে পারে ৬০০ কোটি ডলার পর্যন্ত।
বেকায়দায় পড়া ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, তারা এখন বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরতা ছেড়ে সাবস্ক্রিপশন আয়ে নজর দিচ্ছে, অর্থাৎ তারা খবর বেচবে, কেউ তাদের খবর পড়তে গেলে অর্থখরচ করতে হবে।
পিয়ারসন গ্রুপের মালিকানায় দীর্ঘ ৬০ বছর থাকার পর ব্রিটিশ পত্রিকাটি ২০১৫ সালের জুলাইয়ে কিনে নেয় নিকেই ইনকরপোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এইচএ/