গত বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর দের এজরের কাছে আল-মায়াদিন মরুভূমিতে ওই ৩৩ জনের গলা কাটে আইএস। একইদিন ইরাকের তিকরিত শহরে অপর ২২ জনকে মারে তারা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা (এসওএইচআর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) এ খবর দিয়েছে। তারা বলেছে, জঙ্গিদের গলা কেটে হত্যাকাণ্ড তাদের কর্মীরা পর্যবেক্ষণ করেছে। আর তিকরিত শহরের হামলাও দেখেছে তাদের কর্মীরা।
এসওএইচআর’র মতে, গলা কেটে মারার ঘটনাটি চলতি বছরে আইএসের সবচেয়ে বড় বর্বরতার নজির। অবশ্য এর আগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা গলা কেটে হত্যার আরও বড় বড় ঘৃণ্য নজির রেখে এসেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি।
মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানায়, সিরিয়ায় যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এদের খুব ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কাটা হয়েছে।
কিন্তু নিহতরা সরকারি বাহিনীর সদস্য, নাকি অন্য কোনো সশস্ত্র সংগঠনের সদস্য বা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিদ্রোহী, তা জানতে পারেনি এসওএইচআর।
অন্যদিকে ইরাকে আইএসের সন্ত্রাসীরা বেসামরিক লোক ও পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে নিহত হয় ২২ জন। আহত হয় আরও ৩১ জন।
সন্ত্রাসীরা সামরিক পোশাক গায়ে জড়িয়ে পুলিশের তল্লাশি কেন্দ্রে এবং জনসমাগমস্থলে এই হামলা চালায় বলে জানান প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭
এইচএ/