দামেস্ক নিয়ন্ত্রিত সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তুলে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ‘আরও অনেক কিছু’ করার হুমকি দেওয়ার প্রেক্ষিতে মস্কো এ অবস্থান জানিয়েছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে সিরিয়া ইস্যুতে তুমুল বিতর্ক হয়।
তিনি আমেরিকার নেতাদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনি যখন নিজের পছন্দ মতো চলতে থাকবেন, তখন সেটা ওই অঞ্চলকে ভয়ানক মর্মান্তিক ঘটনার দিকে নিয়ে যায়।
এই বিতর্কে অংশ নিয়ে অবশ্য জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি হুমকি দিয়ে বলেন, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার-আল আসাদের সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র আরও অনেক কিছু করতে পারে।
এদিকে, রাষ্ট্রদূত যখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রকে কার্যত ‘ঠেকিয়ে’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তখন মস্কোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিরিয়ার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিবাদে তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে করা একটি সমঝোতা বাতিল করেছে। ওই সমঝোতাটি করা হয়েছিল সিরিয়ার আকাশে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের ওড়াউড়িতে সংঘর্ষ এড়াতে।
সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা রুশ সামরিক সরঞ্জামে সাজানো। এমনকি সিরিয়াজুড়ে রাশিয়ার যে ক’টি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, সেখানেও দামেস্ক প্রশাসনপন্থি তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে মস্কো। তাদের অবস্থান ও তৎপরতার কারণেই এতোদিন ধরে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ওপর সরাসরি কোনো হামলা করতে পারছিলো না যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ইদলিবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে এবং সেটা শয়রাত বিমান ঘাঁটি থেকে পরিচালিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ওই ঘাঁটিতে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।
ঘাঁটি বিধ্বংসী ওই হামলার পরপরই নিন্দা জানিয়ে এটাকে ‘কাণ্ড ও দায়িত্বজ্ঞান হীন’ বলে বিবৃতি দেয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন ক্রেমলিন। একইসঙ্গে এ ধরনের ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় তাতে।
ওয়াশিংটন-মস্কোর এই তুমুল উত্তেজনার অবস্থানে অবশ্য উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ উভয়পক্ষকেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে আসতে বলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
এইচএ/