শনিবার (৯ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বে বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজকে (এই কমান্ডকে ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপ বলে ডাকা হয়) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে কোরীয় উপদ্বীপের কাছে পাঠানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডার অ্যামিরাল হ্যারি হ্যারিস সিঙ্গাপুরের কাছে অবস্থানরত ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তরে এগোনোর নির্দেশ দেন।
তবে এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। ক’দিন আগেই উত্তর কোরিয়া একটি দূরপাল্লার স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। নিন্দা জানায় ওয়াশিংটনও। যদিও ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণকালেই বিধ্বস্ত হয়ে গেছে বলে দাবি করে পেন্টাগন। এরমধ্যেই সিউল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, পিয়ংইয়ং নতুন করে পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে।
এমন উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’দিন আগে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র সামাল দেবে। তিনি এজন্য চীনের সহযোগিতা কামনা করলেও যদি সহযোগিতা না-ও পান, তবে একলাই সমাধান করবেন।
এমন উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধবিমান বহনকারী রণতরীসহ কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন সমর মহড়ায় উত্তর কোরিয়া কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়, এখন সেদিকেই নজর বিশ্ববাসীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এইচএ/