চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শুক্রবার বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র-উ. কোরিয়া যুদ্ধ বাধে তাহলে কোনো পক্ষই জয়ী হবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজস্ব সামরিক শক্তি নজিরবিহীনভাবে বাড়ানো এবং উ. কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন রণতরি পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
ওয়াং বলেন, আমি মনে করি যে সংশ্লিষ্টদের এ পরিস্থিতি বিষয়ে খুবই সতর্ক হওয়া উচিত। মনে হচ্ছে এ দ্বন্দ্ব যে কোনো মুহূর্তে সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়া তার দেশের জন্য সমস্যা তৈরি করছে এবং এর সমাধান করতে হবে।
তাছাড়া কোরিয়াকে ঠেকাতে যে কোনো কিছু করবে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প। তারই অংশ হিসেবে কোরিয় দ্বীপে একটি বিশাল বিমানবাহী রণতরিসহ একটি স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠিয়েছে আমেরিকা।
ট্রাম্প বলেন, যদি চীন নাও আসে, তবে আমেরিকা নিজেই উত্তর কোরিয়াকে প্রতিহত করবে।
তবে উত্তর কোরিয়া বলছে, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য এসব অস্ত্র দেশটিকে আত্মরক্ষা করতে সাহায্য করবে। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত রয়েছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ পারমাণবিক বোমা-ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে এ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়া তাদের নাগরিকদের রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
আমেরিকার দাবি, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এ পর্যন্ত পাঁচ দফা পারমানবিক বোমা পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও অব্যাহত রেখেছে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
এসএইচ