হুমকির তথ্য পাওয়ার পর শনিবারই (১৫ এপ্রিল) জরুরি বৈঠকে বসে বিমানবন্দর নিরাপত্তা সমন্বয় কমিটি। তারা হুমকির তথ্য খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিকে দায়িত্ব দেয়।
নিরাপত্তা সমন্বয় কমিটি জানায়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এক নারীর কাছ থেকে ইমেইল করে বলা হয়েছে, তিনি ৬ বালককে আলাপ করতে শুনেছেন যে মুম্বাই, চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদের এয়ারপোর্টে ছিনতাই করা হবে। ২৩ দুর্বৃত্ত দলে দলে বিভক্ত হয়ে ছিনতাই চালাতে পারে বলেও ওই নারী শুনেছেন।
এয়ারপোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর মহাপরিচালক ও পি সিং বলেছেন, তিন এয়ারপোর্টকেই সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা বিমানবন্দরে টহল বাড়িয়েছি, প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছি। মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।
বিমানবন্দর নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা নগর পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। সবচেয়ে অভিজাত নগরী মুম্বাই এরইমধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদেও নেওয়া হচ্ছে এমন পদক্ষেপ।
তবে দুর্বৃত্ত দল প্লেন ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করছে, নাকি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করছে- সে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে বিমানবন্দর নিরাপত্তা সমন্বয় কমিটি।
তিনটি বিমানবন্দরেরই কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটের যাত্রীদের নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দরে ঢুকে কার্যক্রম সম্পন্ন করার অনুরোধ করেছে। একইসঙ্গে কারও শেষ মুহূর্তের তড়িঘড়িতে নিরাপত্তার জাল যেন বিঘ্নিত না হয় সেজন্য সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
এইচএ/