তারা বলছে, কোরীয় জলসীমায় সতর্কতা ও নজরদারি কার্যক্রম সংহত করার পরিকল্পনা চালাচ্ছে চীন ও রাশিয়া। দাবি করা হচ্ছে, সেখানে এরইমধ্যে দু’পক্ষই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রাহক জাহাজ পাঠিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতির খবরে সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বে বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজ, ডেস্ট্রয়ার ও সাবমেরিন পাঠায় মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদফতর পেন্টাগন। ওই রণতরীতে ১০০ যুদ্ধবিমান রয়েছে বলেও জানানো হচ্ছে।
তাদের অবস্থান নেওয়ার পর থেকে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে তুমুল বাকযুদ্ধ চলছে। এরইমধ্যে ব্যাপক সমরাস্ত্র প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়াও। এমনকি উত্তেজনার মধ্যেই একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার চেষ্টা চালিয়েছে তারা।
এমন উত্তেজনা চলতে থাকার মধ্যে পেন্টাগনের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, যদি আঞ্চলিক প্রভাবশালী চীন সংকটের সমাধানে এগিয়ে না আসে তবে মার্কিন সামরিক বাহিনী একলাই সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের এই হুঁশিয়ারিতে রাশিয়া পাল্টা সতর্কতা দিয়ে বলে দেয়, যুক্তরাষ্ট্র যেন একতরফা কোনো হামলা না চালায় উত্তর কোরিয়ার ওপর।
ডেইলি মেইল বলছে, এই সতর্কবার্তা দেওয়ার মধ্যেই রাশিয়া ও চীনের গোয়েন্দা জাহাজ পাঠানোর খবর এলো। এর আগে যখন উত্তেজনা ছড়িয়েছে, তখনও এভাবে গোয়েন্দা জাহাজ পাঠিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলো মস্কো ও চীন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
এইচএ/
আরও পড়ুন
** হামলা হলে পশ্চিমাদের অপহরণে স্কোয়াড পাঠাবে উ. কোরিয়া!