এবার জনতার উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেই ‘ভিআইপি’ সংস্কৃতি ভাঙতে নতুন তত্ত্ব স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৩০ এপ্রিল) দেওয়া ‘মান কি বাত’ শীর্ষক ভাষণে মোদি বলেছেন, ‘ভারত রাষ্ট্রে একক কোনো পক্ষ ‘ভেরি ইমপরট্যান্ট পারসন’ বা ভিআইপি নয়, এভরি পারসন ইজ ইমপরট্যান্ট (ইপিআই), অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তিই গুরুত্বপূর্ণ।
মোদি তার ভাষণে বলেন, ভিআইপি সংস্কৃতি আমাদের ভারতকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অভিজ্ঞতা থেকে আমি বুঝেছি, লাল সংকেত গাড়িতে জ্বললেও তা চলে যায় মানুষের মাথায়, আর সেটা মানুষের কাছে পরিচিত হয় বিরক্তির ‘ভিআইপি সংস্কৃতি’ হিসেবে। এখন জনতার মাথা থেকেও লালবাতির সংকেত চলে যাবে। নতুন ভারতের ধারণা হলো ভিআইপি সংস্কৃতির বদলে ইপিআই সংস্কৃতি।
তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, যদি ১২৫ কোটি ভারতীয় তাদের ইপিআই ভেবে একসঙ্গে কাজ করে, তবে আমরা আমাদের সবচেয়ে দুঃসাহসী স্বপ্নকেও পূরণ করতে পারবো।
মোদি এসময় তার ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ বা ‘ক্লিন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের প্রতিক্রিয়ায় জনতার উচ্ছ্বাসের কথা তুলে ধরেন। তুলে ধরেন তার লালবাতি সংকেত বন্ধের পর এক নারীর ব্যাপক উৎসাহে তাকে ধন্যবাদ জানানোর কথাও।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত এখন রাস্তার ভিআইপিদেরও পরিষ্কার করে ফেলছে। প্রত্যেক ভারতীয়ই এখন ভিআইপি।
মোদি আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটি অভিজ্ঞতা অর্জনে ব্যবহারের জন্য তারুণ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুন অভিজ্ঞতা নাও, নতুন জায়গা ভ্রমণ করো এবং নতুন কিছু শেখো। এটা তোমার জীবনকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
এসময় ডিজিটাল ভারত গড়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সবাইকে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার বা অনলাইনে অর্থ লেনদেন করারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ প্রকল্পের পর মোদির ‘লালবাতি সংকেত’ বন্ধ ও ‘ভিআইপি সংস্কৃতি’ ভাঙার উদ্যোগ ভারতজুড়ে তুমুল প্রশংসা কুড়োচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এইচএ/