বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে হাজারো মানুষের মৃত্যুর কারণ এই ইবোলা। বিগত বছরগুলোতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব খু্ব বেশি ছিল; তবে সম্প্রতি তা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও হুট করে আবারও দেখা দিয়েছে।
রোগ সম্পর্কে নতুন করে আলোচনায় আসে যখন কঙ্গোর উত্তর-পূর্বের বাস-উয়েল প্রদেশে নয়জন মানুষ প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে আসেন গত ২২ এপ্রিল। সেসময় তিনজনের মৃত্যু হয়। বাকি ছয়জন এখনও চিকিৎসাধীন।
তবে একজনের মৃত্যু যে ইবোলাতেই হয়েছে এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। বাকিদের বিষয়টিও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ডাব্লিউএইচও’র একটি প্রতিনিধিদল সেখানে কাজে নেমেছে। দলের প্রধান ইউজিন কাম্ববা জানান, যারা জ্বরে আক্রান্ত তারা খুবই দুর্গম ও ঘন জঙ্গলস্থানে বাস করেন। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৪-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সেসময় বেশি আক্রান্ত হয় গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়া। ২০১৪ সালে কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
আইএ