গত মঙ্গলবার (৯ মে) টোকিও আঞ্চলিক অভিবাসন ব্যুরোতে এ অনশন শুরু করেন ‘আটক’ ২০ বিদেশি। শুক্রবার (১২ মে) দুপুরে অনশনে যোগ দেন আরও ডজনখানেক বিদেশি।
ওই বিদেশিরা আঞ্চলিক কেন্দ্রটিতে ‘আটক’ রয়েছেন কিনা সে বিষয়ে অবশ্য অভিবাসন ব্যুরো স্পষ্ট কিছু বলছে না। তবে প্রভিশনাল রিলিজ অ্যাসোসিয়েশন ইন জাপান (পিআরএজে) নামে একটি সংগঠন বলছে, ‘দীর্ঘায়িত বন্দিদশা ও বারবার আটকাদেশের প্রতিবাদে এবং শরণার্থী বিষয়ে দেশটির কড়া-নীতি পরিবর্তনের দাবিতে’ এ অনশন চলছে।
অনশনরত শরণার্থী ও অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে ১২টি দেশের নাগরিক রয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন চীন, মায়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকরা।
অনশনরতদের দাবি, জাপানে অভিবাসন আইনের কড়াকড়ির ফলে ইচ্ছে করেই অভিবাসীদের দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখা হয়। অভিবাসন কেন্দ্রে দীর্ঘদিন কাজ করার পরও ‘শরণার্থী’ মর্যাদা পাওয়া যায় না।
দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সিগেই অতসুকি জানান, অনশনস্থল ওই অভিবাসন কেন্দ্রে বর্তমানে ৫৮০ বিদেশি রয়েছেন।
অনশনস্থলে দায়িত্বরত সংগঠন পিআরএজে’র প্রধান মিতসুরু মিয়াসাকো জানান, অনশনে ৪০ বন্দি অংশ নিয়েছেন। অনেক অনশনকারী পানি পর্যন্ত পান করছেন না। এদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) একজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।
অভিবাসন ব্যুরোর পরিচালকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে অনশনকারীরা সাফ জানিয়ে দেন, ‘তাদের ন্যূনতম অধিকারের দাবি পূরণ না হওয়ায় পর্যন্ত এই অনশন চলতে থাকবে। ’
এই চিঠির কপি পিআরজেএ’র কাছেও রয়েছে জানিয়ে মিতসুরু মিয়াসাকো জানান, অনশনকারীদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা বছরের পর বছর ধরে অভিবাসন কর্মী হিসেবে বাধ্য হয়ে থাকছেন।
বিচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে জাপানে ‘শরণার্থী’ মর্যাদা পেতে ১০ হাজার ৯০১ জন আবেদন করেন। কিন্তু কড়া নিয়ম-নীতির কারণে এদের মধ্যে কেবল ২৮ জনের আবেদন গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এইচএ/