হোয়াইট হাউসকে বেকায়দায় ফেলে দেওয়া এ তথ্য সোমবার (১৫ মে) প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই লাভরভ ও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সার্জেই কিসল্যাকের সঙ্গে আলাপে ওই ‘স্পর্শকাতর তথ্যগুলো’ বলে ফেলেছেন ট্রাম্প।
ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, ওই তথ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্র পেয়েছিল তাদের এক বন্ধু রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। এই স্পর্শকাতর তথ্য কারও সঙ্গে আলাপের অনুমতি ছিল না তাদের। কিন্তু ট্রাম্প পেটে সেই কথা রাখতে পারলেন না। বৈঠক সূত্র মতে, লাভরভ ও কিসল্যাকের সঙ্গে সাক্ষাতে ট্রাম্প ইসলামিক স্টেটসহ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও বিশ্ব নিরাপত্তা নিয়ে আলাপ করেছিলেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার অবস্থান নিয়েও আলাপ হয়।
রাশিয়ার কাছে তথ্য ফাঁসের এই অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশলগত উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডিনা পাওয়েল বলেছেন, এই খবর একেবারেই মিথ্যা। প্রেসিডেন্ট ওই সাক্ষাতে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়েই আলাপ করেছেন।
মস্কোর কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগে ট্রাম্প শিবির নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই বেকায়দায় রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি অভিযোগ তদন্তাধীনও রয়েছে।
ট্রাম্প যদিও এই অভিযোগগুলোকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কোমিকে বরখাস্ত করার পর মাথার ওপর আসা সবশেষ অভিযোগ খণ্ডাতে তাকে আরও বেশ বেগ পোহাতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এইচএ/