শুক্রবার (১৯ মে) যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় র্যাডিয়েশন ডিটেক্ট (তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরিমাপ) করতে অভিযানরত মার্কিন যুদ্ধবিমানটিকে ধাওয়া করেছে সুখোই-৩০। এটা ‘অপেশাদারিত্ব’।
মার্কিন এক সামরিক কর্মকর্তা একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ধাওয়ার সময় চীনের একটি যুদ্ধবিমান মার্কিন যুদ্ধবিমানটির একেবারে দেড়শ’ ফুট পাশ ঘেঁষে চলে যায়।
রাশিয়ায় নির্মিত সুখোই-৩০ উন্নত যুদ্ধবিমানগুলোর একটি। দুই ইঞ্জিন ও দুই আসনের এই ফাইটার জেটগুলোকে মার্কিন এফ-১৮ বিমানের সমপর্যায়ের এবং নিখুঁতভাবে বোমা হামলা চালাতে অনন্য হিসেবে ধরা হয়। অন্যদিকে বোয়িং সি-১৩৫ থেকে উদ্ভূত ডব্লিউসি-১৩৫ যুদ্ধবিমানকে বিশেষ কাজে সাধারণত আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় র্যাডিয়েশন ডিটেক্ট করতে ব্যবহার করে মার্কিন বাহিনী।
চীনের উপকূলে সম্পদ-সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপরে মার্কিন বাহিনীর এই তৎপরতায় বেইজিংয়ের সন্দেহ থেকে ধাওয়ার ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল লরি হজ বলেন, যথাযথ কূটনেতিক ও সামরিক পন্থায় চীনের সঙ্গে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।
দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমার প্রায় পুরো এলাকাই নিজেদের দাবি করে আসছে বেইজিং। যদিও ওই অঞ্চলে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ব্রুনেই, ভিয়েতনামসহ অন্যান্য রাষ্ট্রও জলসীমা নিয়ে বিবাদে রয়েছে বেইজিংয়ের সঙ্গে। কিন্তু সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ গড়ে এবং নৌবাহিনীর টহল বাড়িয়ে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে চীন।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ওই যুদ্ধবিমানটির ‘নিয়মিত অভিযান’ চালানোর কথা বললেও ‘সন্দেহ থেকে’ই সেটিকে ধাওয়া করার দাবি করছে বেইজিং।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এইচএ/