পরমাণু বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কর্মসূচি ইস্যুতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র-জাপানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই খবর এলো। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদফতর পেন্টাগনের দু’জন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, আগে থেকেই কোরীয় উপদ্বীপ ঘেঁষে অবস্থানরত রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসনের কাছে যাচ্ছে দ্বিতীয় রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান। এটির মোতায়েনস্থল ছিল জাপানের ইয়োকোসুকা বন্দর উপকূল ঘেঁষে। আর কার্ল ভিনসনের মোতায়েনস্থল ক্যালিফোর্নিয়ার নাস নর্থ আইল্যান্ড সান ডিয়েগো।
প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই দুই কর্মকর্তা জানান, গত মঙ্গলবার (১৬ মে) কোরীয় উপদ্বীপের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে রোনাল্ড রিগ্যান। উত্তর কোরিয়ার একটি অত্যাধুনিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েকদিন পর ওই রণতরীটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোনাল্ড রিগ্যান ওই অঞ্চলে পৌঁছানোর পর কার্ল ভিনসনের সঙ্গে মিলে অনেক রকমের সামরিক প্রশিক্ষণ চালাবে। তবে সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে যুদ্ধবিমান সফলভাবে ওঠানো ও নামানোর দিকে।
১ হাজার ৯২ ফুট লম্বা রোনাল্ড রিগ্যানে ৬০টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। সামরিক তৎরতায় রয়েছেন ৪ হাজার ৫৩৯ জন ক্রু। আর গত এপ্রিলে কোরীয় উপদ্বীপ উপকূলে মোতায়েন হওয়া কার্ল ভিনসনে রয়েছে প্রায় শ’খানেক যুদ্ধবিমান। এটিতে রয়েছেন ৬ হাজার ৬২ জন ক্রু।
প্রশিক্ষণের পর দু’টো রণতরীই সেখানে থাকবে কিনা তা স্পষ্ট করে কোনো কর্মকর্তা না বললেও এর আগে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, কার্ল ভিনসনের দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর এটি তার মূল মোতায়েনস্থলে ফিরে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এইচএ/