এই উত্তর পাওয়া যাবে আগামীকাল শনিবারের (২০ মে) মধ্যেই। সেখানে এখন চলছে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন।
নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মডারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রার্থী হাসান রৌহানি এবং কমব্যাট্যান্ট ক্লার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রার্থী ইব্রাহীম রাইসির মধ্যে। এছাড়াও লড়ছেন আরেক সংস্কারপন্থি মুস্তাফা হাশেমিতাবা ও রক্ষণশীল মুস্তাফা মিরসালিম। আছেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদের সমর্থন পাওয়া সাবেক গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হামিদ বাঘেই।
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম মনে করে, কট্টর জাতীয়তাবাদী মাহমুদ আহমাদিনেজাদের পর ক্ষমতায় আসা হাসান রৌহানি ইরানকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সংস্কার করে বিশ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন। এমনকি তেহরানের রহস্যময় পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করে পশ্চিমাদের সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তিও করেছেন। এই ভোটে যদি রৌহানি জিতে যান তবে প্রমাণ হবে, ইরানিরা তার সেই সংস্কারের ধারাই ধরে রাখতে চাইছে।
কিন্তু তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইব্রাহীম রাইসি মাঠে নেমেছেন ‘সবকিছু বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার’ বিরোধিতাকে প্রধান প্রচারাস্ত্র বানিয়ে। তিনি বলছেন, ‘সমস্যার সমাধানে আমাদের তারুণ্যের হাত ব্যবহারের পরিবর্তে তারা আমাদের অর্থনীতি বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। ’ এই রাইসি যদি জিতে যান, তবে ইরানিরা ‘জাতীয়তাবাদভিত্তিক রক্ষণশীলতা’ই ফেরাতে চাইছে বলে স্পষ্ট হবে। এমন কট্টর রক্ষণশীলতা ছিল আহমাদিনেজাদ আমলে।
অবশ্য রাইসি সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের দলেরও নন, তার সমর্থনপ্রাপ্তও নন। আহমাদিনেজাদের সমর্থন পাওয়া বাঘেইর নির্বাচনী মাঠের অবস্থা বেশ ভালো নয়।
শনিবার রাজধানী তেহরানের ভোট দেওয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে সবার ভোট দেওয়া উচিত। দেশের ভাগ্য জনতার হাতেই নির্ধারিত হওয়া উচিত। ’
এখন সেই জনতা তাদের ভাগ্য কার হাতে তুলে দেয় সেদিকে নজর রাখছে সবাই। মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে জড়িত যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, তুরস্ক, সৌদি আরব, ইসরায়েল, সিরিয়া স্বভাবতই বিশেষ নজর রাখছে ইরানের এ নির্বাচনের দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এইচএ/