বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বারক আল-শাতি নামে ওই বিমান ঘাঁটি দখলে সরকার-সমর্থিত মিলিশিয়া যোদ্ধারা হামলা চালালে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
গৃহযুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে আক্রান্ত বিমানঘাঁটিটি লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ)।
এলএনএ’র অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে এ হামলা হয়েছে। যদিও তা অস্বীকার করেছে পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সারাজের কার্যালয়।
হামলাকারী মিলিশিয়া বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিমানঘাঁটিটি শত্রুমুক্ত করা হয়েছে এবং ভেতরে থাকা সব বাহিনীকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। হামলার সময় ভেতরে বেশ কিছু যুদ্ধবিমান জ্বলছিল।
আক্রান্ত এলএনএন’র পক্ষ থেকে বলা হয়, সামরিক কুচকাওয়াজ শেষে ঘাঁটিতে ফেরার পথে হামলা চালানো হয়। সেসময় সৈন্যরা নিরস্ত্র ছিলেন। ধরে ধরে হত্যা করা হয়েছে এনএলএন’র সৈন্যদের।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এলএনএ কমান্ডার জেনারেল খলিফা হাফতার সাক্ষাৎ হয়। সেখানে সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর সাময়িক যুদ্ধবিরতির অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবারের এ হামলা তাতে ফাটল তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লিবিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত মার্টিন কোবলারও।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এইচএ/