এ নিয়ে পুরো উত্তর প্রদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে সে খবর।
খবরে জানানো হচ্ছে, সম্প্রতি স্থানীয় একটি পশুখামারে জন্ম নিয়েছে বাছুরটি। তবে জন্মগ্রহণের এক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় এটির। বর্তমানে একটি কাচের বাক্সে বাছুরটির মরদেহ সংরক্ষণ করা আছে।
খামারটির ব্যবস্থাপক রাজা ভায়া মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছয় মাস আগে একটি গাভী কসাইখানা থেকে পালিয়ে এখানে চলে আসে। সেই গাভীর পেটে এ বাছুরের জন্ম। বাছুরটিকে অনেক লোক দেখতে আসছে, শ্রদ্ধা করছে ও দেবতার অবতার মনে করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বন্য জীববৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ ড. অজয় দেশমুখ বলেন, এটা একটা ব্যতিক্রমধর্মী শারীরিক বৈশিষ্ট্যমাত্র। দেহে জিনের সঠিক গঠনের অভাবে এ বিকলাঙ্গতা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, গ্রামবাসী বাছুরটিকে সনাতন ধর্মের দেবতা বিষ্ণুর অবতার হিসেবে দাবি করছে। এরইমধ্যে তার পূজাও শুরু করেছে।
বাছুরটির শরীর গরুর মত থাকলেও মুখের আকৃতির জন্য এর নামকরণ করা হয়েছে ‘গোকারান’। সনাতন ধর্মালম্বী গ্রামবাসীর দাবি, বাছুরটি হিন্দু শাস্ত্র ‘ভগবত পুরাণের’ দেবতা বিষ্ণুর ২৪ অবতারবাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছে। সেজন্য বাছুরটির সম্মানার্থে একটি মন্দির চালু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
এইচএ/