দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেইক গাই কোক শুক্রবার (২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই ঘটনাটিকে ‘হিউম্যান এরর’ বা ‘মানবিক ভুল’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকার ওষুধের সঠিক সংরক্ষণের অভাবে এবং অবিশুদ্ধ ও একই সিরিঞ্জ বারবার ব্যবহারের ফলে জীবাণু ছড়িয়ে ওই ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে দেশের পূর্ব ইকুয়াটোরিয়া রাজ্যের নাকোল্ডোকোপেল গ্রামে। সেখানে গত ২ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত ৫ বছর বয়সী ৩০০ শিশুকে হামের টিকা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আরও ৩২ জন শিশু দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে।
টিকাদাতা দলটির সদস্যরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত ছিলেন না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংরক্ষণ না করার কারণে টিকাগুলোর মান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেগুলোর বিষক্রিয়ায় এসব শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সুদানের সংবাদমাধ্যম বলছে, টিকাদাতা দলটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিল, আর টিকা সরবরাহ করেছিল ইউনিসেফ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র তারিক জসরেভিক বলছেন, আমাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগেই ওই দলটি টিকা দিতে শুরু করে।
এ বছর দেশটিতে সর্বমোট ১২ লাখ শিশুকে টিকা দেবে ইউনিসেফ। কিন্তু ১৫ শিশুর প্রাণহানির ঘটনায় এখন টিকা নিয়ে জনমনে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
এমএজেড/এইচএ/