সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর বুধবার (৭ জুন) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিয়াদের এই অবস্থান জানান। উগ্রপন্থি সংগঠনগুলোকে সমর্থনের অভিযোগে গত ৫ জুন সকালে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মিশর, বাহরাইন, পশ্চিমাপন্থি ইয়েমেন ও লিবিয়া সরকার।
আদেল আল-জুবেইর বলেন, আমরা দেখতে চাই কাতার তাদের ক’বছর আগে দেওয়া কথা মতো আর কোনো উগ্রপন্থি সংগঠনকে সহযোগিতা দিচ্ছে না এবং তাদের বিপজ্জনক মিডিয়া (রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা) দিয়ে অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে না।
কেউ কাতারকে আঘাত করতে চায় না উল্লেখ করে সৌদি মন্ত্রী বলেন, আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি যেন দোহা সঠিক পথে আসে। আমরাও আঘাত থেকে এই পদক্ষেপ নিয়েছি যে তারা যেন বোঝে তারা যেভাবে চলছে সেটা অবশ্যই পরিবর্তন হওয়া দরকার।
জুবেইর মনে করেন, হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থনের মাধ্যমে কাতার ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ও মিশর সরকারকে বিপদে ফেলতে চাইছিলো। আমরা মনে করি না এটা ভালো হচ্ছে। কাতারের এই নীতি বাস্তবায়ন বন্ধ করতে হবে, যেন মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা যায়।
পরিস্থিতি থেকে আপাতত উত্তরণে কাতারকে এখন ঠিক কী করতে হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না দিলেও জুবেইর বলেন, জল, স্থল ও আকাশসীমায় অবরোধের মাধ্যমে কাতারকে যে বিচ্ছিন্নতায় ফেলা হয়েছে তাতে তাদের মূল্য দিতে হবে।
তুরস্ক ও ইরান এই বিচ্ছিন্নতায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ইসরায়েল সরাসরি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদের নেতৃত্বে উপসাগরীয় দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
এইচএ/