বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে রাজ্যের মালবা এলাকার নিমাচ শহরে পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভস্থল মান্দসর শহরে যাওয়ার পথে তাকে আটক করা হয়।
ঋণে ছাড় ও পণ্যের ন্যায্য দামের দাবিতে ১১ দিন ধরে সেখানে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল প্রাণ হারানো ওই কৃষকদের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে মান্দসরে যাচ্ছিলেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, রাহুল দিল্লি থেকে প্রথমে উড়োজাহাজযোগের রাজস্থানের উদিয়াপুরে যান। সেখান থেকে নিমাচ হয়ে মান্দসরে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন রাজস্থান রাজ্যের কংগ্রেস নেতারাও।
পথে নিমাচ পৌঁছালে সেখানে আগে থেকেই দিয়ে রাখা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মোটরসাইকেলে চড়ে সামনে আগাতে চান রাহুল। তখনই পুলিশ তাকে বন্দি করে নিয়ে যায়।
কংগ্রেস নেতাদের আগেই সতর্ক করেছিল পুলিশ। নিমাচের পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট মনোজ কুমার সিং বলেছিলেন, কংগ্রেসের কোনো নেতাকে উত্তপ্ত মান্দসরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ঢোকার চেষ্টা হলে তাদের আটক করা হবে।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সেখানে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিং তা প্রত্যাখ্যান করে দাবি করছেন, পুলিশ নয়। সমাজবিরোধীরা গুলির ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ওই ঘটনার পরই এক টুইটে বিজেপির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘কৃষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে সরকার। ’
বিষয়টিকে বিরোধী দলের মদত বলে আখ্যা দিচ্ছেন ২০০৫ সাল থেকে দায়িত্বরত বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান। তার দাবি, সরকারের সঙ্গে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এইচএ/