শুক্রবার (৯ জুন) স্থানীয় সময় দুপুরে (বাংলাদেশ সময় বিকেলে) রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে তার রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে টেরিজা এ কথা জানান। এর অর্থ টেরিজাই আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন যুক্তরাজ্যকে।
সরকার গঠনের অনুমতি চাইতে রাণীর প্রাসাদে টেরিজা
ব্রিটেনে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট, হচ্ছে জোট সরকার
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ‘ভূমিকম্প’, অন্ধকারে টেরিজা
আবারও বিপুল ভোটে জিতলেন টিউলিপ সিদ্দিক
৩৫ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়ী রুশনারা
দ্বিতীয় বারের মতো ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রূপা হক
তিন কন্যার জয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
জেরেমি করবিন, ব্রিটেনের নতুন ধারার রাজনীতির পথিকৃৎ
এগিয়েও বিপাকে টেরিজার কনজারভেটিভ পার্টি
আসছে ফলাফল, জমেছে লড়াই
ব্রিটেনের নির্বাচনে তেরিজাকে পেছনে ফেলছেন জেরেমি
টেরিজা নাকি করবিন, কে আসছেন যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে
টেরিজা তার সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে ব্রিফিংয়ে বলেন, সবচেয়ে বেশি আসন ও সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়ায় একমাত্র আমাদের দলেরই সরকার গঠনের এখতিয়ার আছে। তাই ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্টদের সঙ্গে নিয়ে ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিতে পারে এবং ক্রান্তিকালে যুক্তরাজ্যকে এগিয়ে নেবে এমন সরকার গঠন করা হবে।
কনজারভেটিভ পার্টির এ নেতা জানান, তিনি ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্টের বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের কার্যক্রম এগিয়ে নেবেন। এজন্য তিনি সবার উদ্দেশে বলেন, ‘চলুন একসঙ্গে কাজ করি। ’
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত আগাম এ নির্বাচনে ৬৫০ আসনের মধ্যে একটি ছাড়া সব ক’টি আসনের ফলই ঘোষণা হয়ে গেছে। ফলপ্রাপ্ত ৬৪৯টি আসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ৩১৮ আসন। আর প্রধান বিরোধী দল জেরেমি করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি পেয়েছে ২৬১ আসন।
৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৩২৬ আসন। সে হিসেবে ৮ আসন দূরেই থেমে গেল ক্ষমতাসীনরা। এখন সমমনা ওই ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট তাদের সমর্থন দিলেই জোট গঠনের মাধ্যমে সরকার চালাতে পারবে কনজারভেটিভরা।
কিন্তু বিগত নির্বাচনে ৩৩১ আসন পাওয়া কনজারভেটিভরা এবার এভাবে জনপ্রিয়তা হারানোয় টেরিজাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান করবিন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা টিম ফ্যারনও টেরিজাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তার যদি আত্মসম্মান বোধ থাকে, তবে পদত্যাগ করা উচিত।
ব্রেক্সিটের পর গত বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে ডেভিড ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া টেরিজা গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আকস্মিক নির্বাচনের ডাক দেন। ২০২০ সালে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তার এই আগাম নির্বাচন আহ্বানকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ করার পদক্ষেপ বলে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু নির্বাচনে দেখা গেল, টেরিজা নিজেই বেশ অস্বস্তি ডাকলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৭
এইচএ/