বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম দফা ভোট গ্রহণ শেষে জনমত জরিপ সংস্থাগুলো ধারণা করছে, মাক্রোঁর দল ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৫৭৭ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪০০টির বেশি পেয়ে জয়ী হবে।
মাত্র এক বছর আগে মাক্রোঁর এ নতুন দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।
আগামী রোববার দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সংসদীয় আসনের প্রতিটি প্রার্থীকে প্রথমদফার ভোটে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ জনসমর্থন পেতে হবে। যদি কোন প্রার্থী তা না পেলে সেখানে দ্বিতীয় দফা ভোট হবে। এরপর বিজয়ীদের নিয়ে সংসদ গঠিত হবে।
দু’টি নির্বাচনী সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে, প্রথম রাউন্ডের ভোটে মাক্রোঁরের রিপাবলিক অন দ্য মুভ পার্টি (এলআরইএম) ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পাচ্ছে।
নির্বাচনে ভোটদানের হার কম ছিলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, মাক্রোঁরের প্রতিপক্ষদের পদত্যাগের প্রতিফলন হতে পারে এটি।
নির্বাচনবিদরা বলছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টি ২০ দশমিক ৯ শতাংশ, ডানপন্থি ন্যাশনাল ফ্রন্ট ১৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং বামপন্থি দলগুলোকে নিয়ে সমাজতন্ত্রীরা পেতে পারে ৯ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনী প্রচারের সময় পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন ৩৯ বছর বয়সী মাক্রোঁর।
গত মাসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাক্রোঁ। চলমান পার্লামেন্টরি নির্বাচনের আগে গত মাসে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা মেরিন লা পেন মাক্রোঁর কাছে পরাজিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
এমইউএম/ওএইচ/