মঙ্গলবার (২০ জুন) তামিল নাড়ুর কোইমবাটর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে বুধবার (২১ জুন) কলকাতা নেওয়া হবে এবং এরপর প্রেসিডেন্সি কারাগারে পাঠানো হবে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট অবমাননার অভিযোগে কারনানকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে তাকে গ্রেফতারের জন্য কলকাতার পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ আদেশের ফলে কোনো বিচারপতিকে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া প্রথম সাজা বলে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
বিচারপতি কারনান গত মাসে সুপ্রিম কোর্টে তাকে দেওয়া কারাদণ্ডাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। ৬১ বছর বয়সী এই বিচারক সুপ্রিম কোর্টের আদেশ ও তার বিরুদ্ধে দেওয়া কারাদণ্ডাদেশ চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
এর আগে গত ৮ মে ভারতের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহারসহ আট বিচারপতিকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন সিএস কারনান। বর্ণ বৈষম্য, ষড়যন্ত্র, হয়রানি ও আদালত অবমাননার দায়ে ওই ৮ বিচারপতিকে সাজা দেওয়া হয় বলে সে সময় আদেশে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান বিচারপতি ছাড়া সাজা দেওয়া অপর ৭ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি দিপক মিশ্রা, বিচারপতি জে চিলামেশ্বর, বিচারপতি রঞ্জন গগাই, বিচারপতি মদন বি লোকুর, বিচারপতি পিনাকি চন্দ্র ঘোষ, বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ ও বিচারপতি আর ভানুমতি। এদের মধ্যে বিচারপতি ভানুমতি ছাড়া বাকি সাতজন একই বেঞ্চের সদস্য।
আদেশে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে এক লাখ রুপি জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জানা যায়, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের বেঞ্চ বিচারপতি কারনানকে বিচার ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া বিভিন্ন নির্দেশ খারিজ করে ‘বিরোধে’ জড়ান বিচারপতি কারনান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
আরআর