সর্বশেষ তারা চমক দেখাতে চাইলেন সরাসরি গুলির দৃশ্যের চমক ভিডিও ধারণ করে তার প্রচার ও নাম কুড়াতে। কিন্তু বিধি বাম।
স্বামীকে গুলি করে হত্যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্টি কারাগার হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ গঠন করেছে পেরেজের বিরুদ্ধে।
পেরেজ যখন তার স্বামীকে গুলি করে তখন সে ঘটনাটি তাদের তিন বছরের শিশুসহ আরো ৩০ জন প্রত্যক্ষ করছিল। রুইজ গুলি করা সময় তার বুকে একটি বই লুকিয়ে রেখেছিল। তার ধারণা ছিল বই থাকায় তা বন্দুকের গুলি ভেদ করতে পারবে না। কিন্তু ঘটলো তার উল্টোটাই। প্রযুক্তিতে চমক দেখাতে নিজের মূল্যবান প্রাণটাই খোয়ালেন রুইজ।
রুইজের চাচি ক্লডিয়া রুইজ জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলোয়ার বাড়াতে তারা এ কাজটি করেছিল। ডব্লিউডে-টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সে এ চমকটা এজন্য দেখাতে চেয়েছিল যে, সে (রুইজ) বলেছিল, আমাদের অনেক ফলোয়ার চাই, আমরা বিখ্যাত হতে চাই। ’
তিনি বলেন, ‘এ পরিকল্পনার বিষয়ে সে (রুইজ) আমাকে জানিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এটা করো না। তোমরা কেন বন্দুক ব্যবহার করতে চাচ্ছো? কেন?
ক্লডিয়া রুইজ বলেন, ‘তাদের মধ্যে ভালোবাসা ছিলো। তারা একে অপরকে ভালোবাসতো। এটা ছিলো কৌতুক, যা ঘটেছে তা ভুল করে হয়েছে’।
পেরেজের বিরুদ্ধে এটা দ্বিতীয় বারের মতো খুনের অভিযোগ। বুধবার (২৮ জুন) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ২৬ জুন (সোমবার) এ ঘটনার পর পুলিশ দু’টি ক্যামেরা উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো দিয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়েছিলো।
পেরেজ বলছে, এ আইডিয়াটি ছিলো রুইজের। সেই তাকে এ কাজে প্ররোচণা দিয়েছে। ঘটনার এক টুইট বার্তায় পেরেজ লিখেছে, আমি আর পেডরো সবচাইতে বিপদজনক একটি ভিডিও ধারণ করতে যাচ্ছি। ধারণাটা তার (পেডরো’র), আমার না।
প্রতিবেশী ওয়াইন ক্যামেরন বলছেন, সবাই কাঁদছে। আমি গাছের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরপরই এটা ঘটলো। আমি আর মেনে নিতে পারলাম না। বাড়িতে ফিরে আসলাম।
যুক্তরাষ্ট্রের এ দম্পতি চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ইউটিউব চ্যানেলটি শুরু করেছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৭
জিওয়াই/জিপি