মঙ্গলগ্রহে অভিযানের অংশ হিসেবে মহাশূন্যে ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে নাসা। আর চাঁদে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রথমেই নাসা নেতৃত্বাধীন মিশনে অংশ নেবে জাপানের নভোচারী সংস্থা।
জাপান মহাকাশ সংস্থার ওই মুখপাত্র মঙ্গলে যাওয়ার এই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাপান অবদান রাখবে বলে আশা করেন। তিনি জানান, এর পাশাপাশি জাপানের প্রযুক্তি সহায়তা কাঙ্খিত স্টেশনে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। আর সেখান থেকেই চাঁদে নভোচারী পাঠাবে জাপান।
জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে জানিয়েছে, জাপানের বিজ্ঞানীরা চাঁদে যাওয়ার একটি প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠিয়েছেন। আগামী বছর আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীন এবং ভারতের মহাকাশ কর্মসূচি যখন অনেকটা প্রতিযোগিতার মধ্যে এগুচ্ছে সে সময়েই এ ঘোষণা দিল জাপান।
গত নভেম্বরে চীনের সবচাইতে দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের অংশ শেষ করে দুই নভোচারী নিয়ে সফলভাবে পৃথিবীতে অবতরণ করে শেনজো-১১। এ দশকের শেষের দিকে মঙ্গলে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে চীনের।
২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে নাসাসহ বিশ্বের অন্য মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের একটি বিলে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে উল্লেখ আছে, ২০৩৩ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে চায় নাসা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৭
জিওয়াই/আরআর