বুধবার (৫ জুলাই) এ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন জোটের চার দেশ সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বৈঠক শেষেই ‘সময় মতো’ কাতারকে অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হচ্ছে।
গত সোমবার (৩ জুলাই) কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিল আব্দুলরহমান আল থানি তার দেশের পক্ষ থেকে ওই ১৩ শর্তের জবাব মধ্যস্থতাকারী কুয়েতের কাছে তুলে দেন। কুয়েত জবাবটি আরবদের কাছে পৌঁছে দেয়।
বুধবার সেই জবাব পাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আরব জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নই রাখছে এবং কায়রোতে বৈঠকের পর এ বিষয়ে যথাসময়ে পরবর্তী পদক্ষেপ জানিয়ে দেওয়া হবে।
সন্ত্রাসে মদদ এবং রিয়াদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী তেহরানের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদির নেতৃত্বে আট দেশ। তাদের সম্পর্ক ছিন্নের ফলে একরকমের এক ঘরে হয়ে পড়ে কাতার।
এর ক’দিন পরই অবরোধ প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে দশ দিনের জন্য ১৩ দফা বেঁধে দেয় আরবরা। যেখানে ছিল সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বন্ধ, তেহরানের সঙ্গে সম্পর্কের দহরম-মহরম অবস্থা ছেঁটে ফেলা এবং কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি সরিয়ে দেওয়া।
প্রস্তাবগুলো অগ্রহণযোগ্য ও সমঝোতামূলক নয় বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয় কাতার। এরপর শর্ত পূরণে আরও ২৪ ঘণ্টা বেঁধে দেয় আরবরা। কিন্তু কাতার তাদের আগের অবস্থানই জানিয়ে নিজেদের আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল থানি জার্মানিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোর গলায় বলেন, সম্পর্ক পুনরায় জোড়া লাগানোর জন্য যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে তা অবাস্তবধর্মী ও কার্যকর কিছু নয়।
সে সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েলও কাতার ইস্যুতে আরবদের সহনশীলতা দেখানোর আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন, আঞ্চলিক সংলাপের মাধ্যমে এই সংকটের উত্তরণ করতে হবে।
আরবরাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদে মদদ ও আঞ্চলিক অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা বন্ধ না করলে কাতারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রাখবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/