ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘গো টু হেল’ স্লোগানে বরণ বিশ্ব নেতাদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১১ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৭
‘গো টু হেল’ স্লোগানে বরণ বিশ্ব নেতাদের বিক্ষোভে উত্তাল জার্মানির হামবুর্গ শহর

‘গো টু হেল- নরকে যাও’, ‘গো টু হেল- নরকে যাও’ স্লোগানে প্রকম্পিত হলো- জার্মানির হামবুর্গ শহর। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা বিশ্ব নেতাদের এমন অভিশাপ বাণীতেই যেন বরণ করে নিলেন। 

বিক্ষোভকারীদের বাঁধা দিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে দেশটির দাঙ্গা পুলিশও। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর দাবি আনুমানিক ১২ হাজারের ও বেশি বিক্ষোভকারী বিশ্ব নেতাদের বিরুদ্ধে দুয়োধ্বনি দিতে থাকে এবং পুলিশের দিকে বোতল ছুড়তে থাকলে পুলিশ জলকামান, গ্যাস ও লাঠি ব্যবহার করে।

 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ পুরো হামবুর্গ শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য তার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারা হামবুর্গে পৌছেছেন। শুক্রবার এই সম্মেলন শুরু হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ সন্ধ্যা নাগাদ পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা পুঁজিবাদী বিশ্বকে ধিক্কার জানিয়ে নানা স্লোগানের পাশাপাশি বোতল এবং ধোঁয়া বোমা নিক্ষেপ করে।  

বিক্ষোভ রুখতে দাঙ্গা পুলিশের প্রস্তুতি
যদিও সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বিক্ষোভস্থল প্রায় ২ মাইল দূরে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কমপক্ষে ৭৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামবুর্গ পুলিশ। যাদের মধ্যে তিনজনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ২১ বছর বয়সী ছাত্র নিকোলাস সিএনএনকে বলেন, আমি পুরোপুরি জি-২০ সম্মেলন বিরোধী নই। আমি পূঁজিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি। কারণ এটি বিশ্বের ভুলের মূল কারণ। যুদ্ধ খারাপ হতে পারে কিন্তু পূঁজিবাদ গোপনে মানুষকে খুন করে।

ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে হামবুর্গের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ২৭ বছরের জুলিয়া রেইসেসিং সাংবাদিকদের জানান, তাদের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিরো, তবে বিনা উস্কানিতে বিক্ষোভে বিঘ্ন ঘটায় পুলিশ।

বিবিসির সংবাদকর্মীরা জানান, শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনের শুরুতেই আয়োজক দেশ জার্মানির হামবুর্গে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। গভীর রাতেও হামবুর্গের রাস্তায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়।  

বিক্ষোভকারীরা বলছে, বৈষম্য দূর করতে সরকার প্রধানেরা যেনো আরও মনোযোগী হন তা মনে করিয়ে দেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১১ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৭ 
আরএম/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।