বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে এক যৌথ বিবৃতিতে আরব-উপগাগরীয় জোটটির তরফ থেকে এই কথা বলা হয়। এর আগে বুধবার (৫ জুলাই) কায়রোতে বৈঠক করেন দেশ চারটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, কাতার উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করার তৎপরতা চালিয়ে যেতে চাইছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া মেনে সব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং চার দেশের অধিকার, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষায় যথাসময়েই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২২ জুন বেঁধে দেওয়া ১৩ শর্ত প্রত্যাখ্যান করে ৩ জুলাই আরবদের লিখিত জবাব পাঠায় দোহা। ওই শর্তের মধ্যে ছিল আল জাজিরা বন্ধ, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক সংকুচিত করা এবং কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেওয়া। শর্তগুলোকে অগ্রহণযোগ্য ও বাস্তবায়ন অযোগ্য উল্লেখ করে দোহার তরফ থেকে বলা হয়, এসব শর্ত কাতারের পররাষ্ট্রনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল।
মনোপূত জবাব না পেয়ে ফের বৈঠকে বসে আরবরা। তারা কাতারের এই অবস্থানকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকিমূলক অভিহিত করে জানিয়ে দেয়, অবরোধ অব্যাহত থাকবে এবং আরও কড়া পদক্ষেপ আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমারা রিয়াদের নেতৃত্বে উপসগারীয় শক্তিকে এক থাকার আহ্বান জানালেও জার্মানির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি যেন যুদ্ধে না গড়ায় এবং কাতারের পররাষ্ট্রনীতিকে যেন সম্মান জানানো হয় সে ব্যাপারে সবপক্ষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৭
এইচএ/