অবশেষে দুই নেতার দেখা হলো। কুশল বিনিময় করলেন প্রতিবেশী দুই দেশের সরকারপ্রধান।
শুক্রবার (৭ জুলাই) ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার এই জোটে বাকি তিন দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানও ছিলেন। বৈঠকে মুখোমুখিই বসেন মোদি ও জিনপিং।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল ভাগলে জানান, হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে সাক্ষাৎ হয়েছে মোদি ও জিনপিংয়ের। এতে নানা বিষয়ে আলাপ করেছেন তারা।
আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার বাংলা সংস্করণ এই সময় জানায়, ব্রিকস নেতাদের বৈঠকে জিনপিং ভারতকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভারতের উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ দমনে নয়াদিল্লির ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।
আর সাক্ষাতে মোদি খোঁচা দেন চীনের দীর্ঘদিনের বন্ধু পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে। দেশটিকে ইঙ্গিত করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ব্রিকস নেতাদের অংশ নিতে হবে। সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন, সহযোগিতা ও নিরাপদ আস্তানা বন্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
গত ১৬ জুন ভারত, ভুটান ও চীনের সীমানার সংযোগস্থল ডোকলামের কাছে সড়ক নির্মাণ শুরু করে চীনা সৈন্যরা। এই মালভূমিটিকে ভুটানের অংশ মনে করে নয়াদিল্লি ও থিম্পু। কিন্তু চীনের দাবি, তাদের সড়ক নিজেদের অংশেই নির্মিত হচ্ছে। এ নিয়ে উত্তেজনার জেরে ভারতের সেনাবাহিনীর দু’টি বাংকার গুড়িয়ে দেয় চীনা সৈন্যরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষই সীমান্তে সৈন্য-সামন্ত বাড়িয়েছে। বাকযুদ্ধে জড়িয়েছে নয়াদিল্লি ও বেইজিং।
এমন উত্তেজনার মধ্যে দুই নেতার বক্তব্য কিছুটা হলেও পরিস্থিতি বোঝার জন্য পরস্পরকে সুযোগ করে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৭
জিওয়াই/