শনিবার (৮ জুলাই) কোরীয় উপদ্বীপের অসামরিক জোনের (উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝামাঝি ডিমিলিটারাইজড জোন-ডিএমজেড) কাছে এই মহড়া চালানো হয়েছে। মহড়ায় অংশ নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার চারটি যুদ্ধবিমান।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, পিয়ংইয়ংয়ের সবশেষ আইসিবিএম পরীক্ষার প্রেক্ষিতে তাদের সতর্ক করতে শনিবার এই মহড়া চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। আইসিবিএম প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানতে সক্ষম বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, যুদ্ধবিমানের মহড়া চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে অ্যান্ডারসন বিমান ঘাঁটি থেকে ভারী বোমা নিক্ষেপে সক্ষম বি-১বি ল্যান্সার পাঠানো হয় দুই কোরিয়ার সীমান্তে। ‘বোন’ নামে পরিচিতি শব্দের চেয়েও দ্রুতগতির সাবলীল পাখার যুদ্ধবিমানগুলো উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্তে কয়েক চক্কর দিয়ে পরে আবার ফিরে আসে ঘাঁটিতে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানগুলো শত্রুপক্ষের ব্যালিস্টিক মিসাইলের অবস্থান ধ্বংস করছিল, আর দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো হামলা করছিল শত্রুপক্ষের স্থলবাহিনীর কমান্ড পোস্টগুলো লক্ষ্য করে।
দফায় দফায় আলোচনা-সমঝোতার প্রস্তাবের মধ্যে গত ৪ জুলাই ভোরে আইসিবিএমের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায়। ওয়াশিংটনের সামনে থেকে কূটনৈতিক সমাধানের পন্থা উধাও হয়ে যাচ্ছে বলে জানান মার্কিন নেতারা। এতে কথার যুদ্ধে জড়ায় পিয়ংইয়ংয়ের ঘনিষ্ঠ চীন-রাশিয়াও। এমন বাকযুদ্ধ চলার মধ্যেই উত্তর কোরিয়াকে ‘সতর্ক’ করতে এই মহড়া চালালো যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৭
এইচএ/