সম্মেলনের শেষ দিন শনিবার (৮ জুলাই) জলবায়ু ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছানোর সংবাদ বিবিসি’র কাছে এসেছে। সম্মেলন শেষে এ বিষয়ে যৌথ ঘোষণা দেওয়া হবে।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সম্মেলনবিরোধীদের ব্যাপক বিক্ষোভ আর সংঘর্ষের মধ্যেই শুরু হয় বিশ্ব নেতাদের এই বড় আসর। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেও টানা বিক্ষোভের পর ঐকমত্যে পৌঁছানোর সংবাদটি আসে। এ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা রাতভর ঘাম ঝরিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা জানান, অন্য দেশের প্রতি প্রতিশ্রুতির কথা চিন্তা না করেই জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ায় ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা হয়েছে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে।
সম্মেলন সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য নীতিতে একমত হয়েছেন বিশ্ব নেতারা। তারা সবাই শুল্কমুক্ত রফতানি বাণিজ্যের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
সম্মেলনের অংশ নেওয়ার পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছেন বিশ্ব নেতারা। বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে একে অপরকে আশ্বাস দেন তারা।
শুক্রবার রাতভর বিক্ষোভের পর শনিবার হামবুর্গে চূড়ান্ত আলোচনা ও সমঝোতার জন্য বসেছেন বিশ্ব নেতারা। শনিবার সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রনের সঙ্গে কথা বলেছেন সম্মেলনের আয়োজক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। এর আগে শুক্রবার সম্মেলনের আলোচনা প্রসঙ্গে মার্কেল বলেছিলেন, সংলাপ কঠিন ছিল।
শনিবার সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা বলেন, সম্মেলনের ফলাফল ভালো। আমাদের যোগাযোগ হয়েছে।
জি-২০ সম্মেলনে উন্নত ও স্বল্পোন্নত মিলিয়ে ১৯ দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৭
জিওয়াই/আরআর