ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে চলমান সংলাপের ধারাবাহিকতায় দেওয়া টেরিজার প্রস্তাবে এমনই অসন্তোষ প্রকাশ করলো তারা।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রধান মধ্যস্থতাকারী গাই ভেরহফস্টাড এবং পার্লামেন্টর আরও চারটি গ্রুপের প্রধান কর্মকর্তারা এক যৌথ বিবৃতিতে তাদের এই অবস্থান জানান।
তারা মনে করেন, ব্রিটেনের নাগরিকরা যে সুবিধা পায়, টেরিজার প্রস্তাবনায় তার চেয়েও কম সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ইউরোপীয়দের।
টেরিজার প্রস্তাব অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় তিন মিলিয়ন লোক ব্রিটেনে থাকার সুযোগ পাবেন। তারমধ্যে আবার যেসব অভিবাসী ৫ বছর ধরে বসবাস করছেন, তারাই পাবেন স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এরমধ্যে আবার প্রস্তাবনাটি কার্যকরের শর্ত হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকেও সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে সেসব দেশে বসবাসরত ব্রিটিশদের।
ইইউ পার্লামেন্টের ওই চার গ্রুপের যে নেতারা যৌথ বিবৃতিটিতে স্বাক্ষর করেছেন তারা পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের অধিকার ভোগ করছেন। তাদের চিঠিতে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, ব্রেক্সিট সম্পর্কিত কোন চুক্তি সামনে যেতে হলে তাদের ভোট লাগবে, তারা চাইলে তা প্রত্যাখ্যানও করতে পারেন। আর চুক্তি বাতিলের বিষয়টি পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে।
ইইউ নেতারা বলেছেন, তারা এমন কোনো চুক্তি করবেন না যা নাগরিকদের বিদ্যমান সুবিধাও বাতিল করে দেয়।
তারা বলছেন, ব্রিটেনের প্রস্তাবে ঘাটতি রয়েছে। কারণ প্রস্তাবে নাগরিকদের যে সুবিধা আগে থেকেই ছিলো তা বাতিল হচ্ছে। আর তা লাখো মানুষের জন্য নতুন ফাঁদ ও অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/