সোমবার (১০ জুলাই) সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আদালতের রায়ে লর্ড জাস্টিস বারনেট বলেন, বিচার পর্যালোচনা শেষে আমরা বলতে চাচ্ছি, অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বৈধ।
সৌদি আরব হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অস্ত্রের সব চাইতে বড় ক্রেতা। গত দুইবছরে দেশটি যুক্তরাজ্য থেকে তিন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয় করেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, হুথি বিদ্রোহীদের সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক মারা গেছে। যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে ‘ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট আর্মস ট্রেড’।
সংগঠনটি বলছে, অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে যুক্তরাজ্য মানবাধিকার নীতি লংঘন করছে।
সৌদি আরবের কাছে টাইফুন ও টর্নেডো যুদ্ধ বিমান, নির্ভুল বোমা বর্ষণ যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য অস্ত্র বিক্রি করেছে যুক্তরাজ্য। এই অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে কর্মসংস্থান হচ্ছে যুক্তরাজ্যের হাজারো প্রকৌশলীর আর অস্ত্র বিক্রি করে বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড রাজস্ব আয় হচ্ছে ব্রিটিশ সরকারের।
২০১৫ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে সেখানকার আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী সমর্থিত সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব।
অন্যদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহকে সমর্থন করছে হুথি বিদ্রোহীরা। ২০১৪ সালে তাদের হামলার মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আব্দুর আবুহ মানসুর হাদি।
এরপর থেকেই হাদি সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতায় বসতে ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
জিওয়াই/এমএ