খবরে বলা হয়, বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন সামরিক শক্তি বাড়াতে চাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও দেশটি তা অস্বীকার করে যাচ্ছে বারবার।
‘হর্ণ অব আফ্রিকা’ নামে পরিচিত দেবোওতি’র উদ্দেশে সৈন্যদল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে চীনা জাহাজটি। সৈন্য পাঠানোর কারণ হিসেবে চীন বলছে, আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানবিক কাজে সহায়তার জন্যই এ ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া আরও বলছে, যে কোনো ধরনের সামরিক সহায়তা, নৌ-মহড়া ও উদ্ধার অভিযানের কাজেও সহায়তা করা হবে এই সেনাঘাঁটি থেকে।
এ বছর সেনাবাহিনীকে দ্রুত আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি আফ্রিকায় বিনিয়োগ বাড়িয়েছে চীন। সিনহুয়া জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দক্ষিণের গোয়াংডং প্রদেশের বন্দরনগরী জেনজিয়াং থেকে জাহাজটির যাত্রা শুরু হয়।
ঠিক কতজন সৈন্য দেবোওতি ঘাঁটিতে পাঠানো হচ্ছে এবং কবে সেটা উদ্বোধন করা হবে সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ।
খবরে বলা হয়, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই দেবোওতি সেনা ঘাঁটি বসিয়েছে চীন। গত বছরই চীন ঘাঁটি স্থাপনের কাজ শুরু করেছিল।
বুধবার (১২ জুলাই) চীন সরকার নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, চীনের নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্যই ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছে চীনের নেই। দেবোওতিতে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ফ্রান্সেরও সেনা ঘাঁটি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২১০৭
জিওয়াই/এমএ