তাদের পক্ষ থেকে টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্র নেই। এমনকি তারা অধিকার আদায়ের একটি সংগঠন মাত্র।
আরসা বলছে, তারা বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মায় নিপীড়ন থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষার জন্য বহুদিন ধরেই প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তবে তাতে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। একটি বিষয় পরিষ্কার বলা দরকার- আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেট (আইএস), লস্কর-ই-তৈয়বাসহ কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে আমাদের যোগসূত্র নেই।
এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, আরসা সদস্যদের হামলার সুযোগ নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার থেকে বের করে দিতে চাইছে। যদিও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বে থাকা মিয়ানমার সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। বরং তারা আরসার দিকে আঙুল তুলেই যাচ্ছে।
এর আগে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, পাকিস্তানের আল কায়েদার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে আরসা।
রাখাইন রাজ্যে অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আরসা গত সপ্তাহে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দেয়। সেটি মানেনি দেশটির সরকার। তারপরও অভিযান চলেছে, মানুষ হত্যা চলেছে। এখন পর্যন্ত সেখানে তিন হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার খবর মিলেছে, এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর জেরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পাশের দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের সংখ্যা চার লাখের ওপরে, বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা লাখ পাঁচেক ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
আইএ