রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নাইপিদো-তে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সু চি বলেন, রোহিঙ্গারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে। তবে সরকার শান্তি বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ব নেতারা মিয়ানমারে আসুন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করুন, দেখুন কেন রোহিঙ্গারা পালাচ্ছে।
অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে স্বীকার করে রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বেআইনি সহিংসতার নিন্দা জানান সু চি। এ সময় সু চি বলেন, ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে হওয়া সমঝোতার ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে সু চি সরকার প্রস্তুত।
রাখাইনে সবপক্ষের ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর সহমর্মিতা জানান সু চি। এছাড়া কফি আনান কমিশনের সব ধরনের সুপারিশ বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক আলোচনা অব্যাহত থাকার কথাও বলেন সু চি।
বিদেশি পর্যবেক্ষদের জন্য মিয়ানমারের দরজা খোলা রয়েছে উল্লেখ করে সু চি বলেন, আপনারা এসে পরিস্থিতি নিজেরা পর্যক্ষেণ করুন। মিয়ানমার ধর্মের কারণে বিভাজিত হয়ে থাকতে পারে না।
এ সময় রাখাইনে ৫০ শতাংশ বাড়ি এখনও অক্ষত রয়েছে বলেও দাবি করেন সু চি।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করে সুচি বলেন, রাখাইনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করা হবে।
মাত্র ১৮ মাস হলো আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আমাদের অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এতো অল্প সময়ে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেল করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭/আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা
এইচএ/জেডএস