স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ফোনলাপের বিষয়টি এক বিবৃতিতে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট। ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম সু চির সঙ্গে কথা হলো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
রাখাইনে বর্বর সহিংসতায় হাজারো রোহিঙ্গার প্রাণহানি ও লাখো মানুষের গৃহহারা হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সু চির তুমুল সমালোচনার মধ্যে টিলারসন তাকে বলেন, মিয়ানমার সরকারকে সহিংসতায় আক্রান্তদের ত্রাণ সহায়তা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের দিকে নজর দিতে হবে।
সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নিতে সু চি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানিয়ে টিলারসন বলেন, বাস্তুহারা লোকজনের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীকে কাজ করতে হবে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞে গত ২৫ দিনে ৩ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে। সুনির্দিষ্ট হিসাব মতে, সোয়া চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। কোনো কোনো হিসাব মতে এ সংখ্যা দ্বিগুণ।
এই অবস্থার মধ্যে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতিগত নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করে উদ্ধত সু চি বলেন, মিয়ানমার বিশ্ব সম্প্রদায়ের কোনো পর্যবেক্ষণকেই ভয় পায় না। তবে যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গৃহহারা ‘মিয়ানমারের নাগরিকদের’ স্বদেশে ফেরাতে তার দেশ প্রস্তুত বলেও জানান সুচি।
তার এই অভিযোগ অস্বীকারে তুমুল সমালোচনা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। এরমধ্যেই নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনে ব্যস্ত থাকা টিলারসন ফোন দিলেন সু চিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এএটি/এইচএ/