স্থানীয় সময় বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তার সরকার লাখ লাখ মানুষের পালিয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
হেনরি ভ্যান থিও বলেন, সন্ত্রাসী হামলার পরই রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হয়েছে। অমুসলিমদের ওপরও এর প্রভাব পড়েছে। তবে অনেক মানুষ এখনও সেখানে থেকে গেছেন, বসবাস করছেন।
বলেন, মানবিক সহায়তা আমাদের প্রধান গুরুত্বের বিষয়। তাদের সব অধিকার বিনা বৈষম্যে পূরণ করা হবে।
এ সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন। বলেন, সবাই পাশে থাকলে পরিস্থিতি আরও উন্নতি করা সম্ভব হবে।
তবে ভাষণে এই সিনিয়র নেতা ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। তিনি তাদের মুসলিম বলে অভিহিত করেন।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসেছেন প্রায় সোয়া চার লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭/আপডেট ১২৫৬ ঘণ্টা
আইএ