শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) তেহরানে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ উইং ইসলামিক রেভোলুশনারি গার্ডের সামরিক কুচকাওয়াজে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রর্দশনের কয়েক ঘণ্টা পর এই সফল পরীক্ষার খবর দেওয়া হয়।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হলেও ঠিক কখন-কোথায় এটি উৎক্ষেপণ করা হয়, তা জানানো হয়নি।
যদিও ইরানের সামরিক শক্তিতে বহু আগে থেকেই এ ধরনের পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তবে এই প্রথমবারের মতো ‘খোরামশাহর’কে প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা হলো।
এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ বলে দেখা হচ্ছে। ইরানকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে তাদের এ খাতে সহযোগিতাকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে গত আগস্টে ট্রাম্প একটি বিল পাস করেন।
এমনকি তিনি গত গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির সমালোচনা করেন। তেহরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে তাদের কিছু শর্ত মেনে ওই চুক্তিটি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।
ইরানের মসনদে রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদী মাহমুদ আহমাদিনেজাদের বদলে কিছুটা সংস্কারপন্থি হাসান রুহানি এলে পরমাণু কর্মসূচিকেন্দ্রিক বিবাদ নিরসনে সমঝোতায় আগায় তেহরান ও ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে পশ্চিমা জোট। দীর্ঘ আলোচনার পর দু’বছর আগে ওই চুক্তিটি সই হয়।
কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে এই চুক্তির বাস্তবতা ও কার্যকারিতা অস্বীকার করে এবং তেহরানকে খোঁচা মেরে বক্তব্য দিতে থাকলে গত ফেব্রুয়ারিতে মাঝারি পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় ইরান। তার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, ইরানকে নজরে রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই বাক্য ছোড়াছুড়ির আগুনে ঘি ঢেলে ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে রুহানি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে খোঁচা মেরে বলেন, বিশ্বরাজনীতিতে নয়া খচ্চরের আগমন ঘটেছে। ইরান কারও চোখ রাঙানিকে ভয় পায় না। এরপরই তেহরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনে তৎপরতা শুরু করে।
বিশ্ব সংবাদমাধ্যম মনে করছে, ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে পারস্য উপসাগরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরির প্রেক্ষাপট হয়েছে। আপাতত যুক্তরাষ্ট্র কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেদিকেই নজর সবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এইচএ
** দূরপাল্লার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করলো ইরান