পরিস্থিতির উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা-আসিয়ানের বৈঠকে আহমেদ জাহিদ হামিদি এ বিষয়ে বক্তব্য দেন।
হামিদি বলেন, মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। এখানে নারী-শিশুও মানা হচ্ছে না। রোহিঙ্গারা মানুষ, তারা পশু নয়। এভাবে মানুষ হত্যা করবেন না।
মিয়ানমারে ত্রাণ সরবরাহে বাধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি আপনারা সত্যিই গণতান্ত্রিক দেশ হতেন তবে মানবিক দিক বিবেচনায় সাহায্যে বাধা দিতেন না।
রোহিঙ্গাদের দায় না এড়িয়ে সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তিনি দায়িত্ব দিতেও জোর আহ্বান জানান।
এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানের পক্ষে কথা বলেন। এছাড়া বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থাও করেন।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, সহিংসতার শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সোয়া চার লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
আইএ