সেজন্য প্রতিষ্ঠানের কিছু ম্যাগাজিন বেচে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে টাইম ইনক যুক্তরাজ্য। গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
টাইম ইনক যুক্তরাজ্য বর্তমানে ফ্যাশন ম্যাগাজিন ম্যারি ক্লেয়ার, মিউজিক ম্যাগাজিন এনএমই, স্থাপনা, ফ্যাশন ও ভ্রমণ ম্যাগাজিন ওয়ালপেপার, টেলিভিশন লিস্টিং ম্যাগাজিন টিভি টাইমস প্রকাশ করে আসছে। তাদের আওতায় রয়েছে টাইমস কাস্টমার সার্ভিস এবং আফ্রিকায় জনপ্রিয় এসেন্স ম্যাগাজিনও।
টাইম ইনকের আগে চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত পপকালচার ম্যাগাজিন রোলিং স্টোন কর্তৃপক্ষ জানায়, বেচা-বিক্রিতে ভাটা পড়ায় তারাও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।
গত এপ্রিলে টাইম ইনক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, প্রিন্ট সংস্করণের দশা বেহাল হয়ে পড়েছে। এখনই পুরো ব্র্যান্ড বিক্রি করা না হলেও লোকসানে থাকা কিছু সম্পত্তি পরিত্যাগ করা হবে। পাঁচ মাসের মাথায় এখন তারা বলছে, প্রিন্টের বেচা-বিক্রি এবং বিজ্ঞাপনী আয় ধারণার চেয়েও কমে গেছে।
পুরো যুক্তরাজ্যজুড়েই প্রিন্ট পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের বিক্রি ও আয়ে ভাটা পড়েছে। টাইম ইনকও পড়েছে সেই বাস্তবতার জালে। চলতি কোয়ার্টারেই তারা এমন লোকসানে ভুগেছে। গত বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে জুন পর্যন্ত তাদের ম্যাগাজিন বিক্রির যে হার ছিল, এ বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের জুন পর্যন্ত তা পড়ে গেছে অন্তত ১২ শতাংশ।
তবে টাইম ইনক আশাবাদী যে, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি যুগের পাঠক যা চায়, তা বিচার-বিশ্লেষণ করে সে হিসেবে কৌশল নির্ধারণের মাধ্যমে কাজ করে তারা ঘুরে দাঁড়াবে।
মুহূর্তের খবর মুহূর্তেই দেয় অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো। সে কারণে পরদিনের বা সপ্তাহখানেক পরের ছাপা সংবাদমাধ্যম হাতে নিতে হয় না সংবাদ পাঠককে। এই বাস্তবতায় অনেক আগেই ছাপা সংস্করণ গুটিয়ে নিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট, লয়েডস লিস্ট, যুক্তরাষ্ট্রের নিউজউইক, ওয়াশিংটন পোস্ট, শিকাগো ট্রিবিউন, গ্লোবাল পোস্ট, রাশিয়ার মস্কো টাইমস ও নিউ টাইমসসহ অনেক প্রভাবশালী ও প্রাচীন সংবাদমাধ্যম।
এতোদিন ম্যাগাজিনগুলো সংবাদের তুলনায় রয়ে-সয়ে পড়ার পত্রিকা হিসেবে চলার চেষ্টা করছিল ঠিকই, কিন্তু অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোতে সেসব পত্রিকার আধেয়গুলোও যখন-তখন আরও আকর্ষণীয়ভাবে মিলতে থাকায় ম্যাগাজিনের প্রয়োজনীয়তাও ফুরিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এইচএ/