মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুরে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সংবাদ সম্মেলনে এই তিন পদার্থবিজ্ঞানীকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ বিজ্ঞানীদের হাত ধরে প্রথমবারের মতো মহাকর্ষীয় তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ ছিল ইতিহাসের মাইলফলক- এতে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে গবেষণার দরজা আরও উন্মুক্ত হয়ে গেছে।
ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ ৯০ লাখ ক্রোনারের মধ্যে ওয়েস পাবেন অর্ধেক, বাকি অর্ধেক সমান ভাগ করে পাবেন ব্যারিশ ও থ্রোন।
যুক্তরাষ্ট্রের লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্রাভিটেশনাল অবজারভেটরির (লিগো) এ বিজ্ঞানীরা গত বছর ঘোষণা দেন, দীর্ঘদিন গবেষণা শেষে তারা মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করেছেন। এই তরঙ্গের ব্যাপারে ১০০ বছরেরও বেশি আগে আপেক্ষিকতা তত্ত্বে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন।
প্রায় ১৪শ’ কোটি আগে বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের ফলে যে উত্তাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়, সেটাই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। আইনস্টাইন ধারণা দিলেও এই তরঙ্গের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো বাস্তব প্রমাণ পাচ্ছিলেন না বিজ্ঞানীরা।
ওই তিন বিজ্ঞানী সেটা শনাক্ত করার মাধ্যমে অপেক্ষার অবসান ঘটান। বিজ্ঞানীদের দাবি, ওই তরঙ্গ শনাক্তের ফলে সামনের দিনে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি, ধারাবাহিক পরিবর্তনসহ মহাজাগতিক অনেক অজানাই জানা যাবে।
গত বছর এ পুরস্কার জিতেছিলেন তিন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডেভিড জে থোউলেস, এফ ডানকান এম হ্যালডেন ও জে মাইকেল কস্টারলিৎজ। পদার্থের বিশেষ ঘনীভূত অবস্থা নিয়ে তত্ত্বীয় গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখানোয় তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এইচএ/