মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দু’জন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) এই খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, পররাষ্ট্র দফতরের নির্ধারিত ১৫ কূটনীতিককে এক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, রহস্যময় সনিক অ্যাটাক বা শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে আক্রমণের কারণে নিজেদের দূতাবাসের কর্মী কমে যাওয়ায় ভারসাম্য আনতে কিউবার দূতাবাস থেকেও সমানসংখ্যক কূটনীতিক বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র দফতর। এ সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি কিউবার সরকার।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়, রহস্যময় সনিক অ্যাটাকের কারণে তাদের ২২ দূতাবাসকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেজন্য কম গুরুত্বপূর্ণ সব দূতাবাসকর্মীকে সপরিবারে হাভানা ত্যাগের কথা বলা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় কিউবার ভিসা প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে মার্কিনিদের দেশটি ভ্রমণে বিরত থাকতেও বলা হয়।
গত ২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সমস্যার প্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বরেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানান, হাভানায় মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত ‘বিবেচনা করা হচ্ছে’।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে, সন্দেহজনক সনিক অ্যাটাকের কারণে দূতাবাসের লোকজন মস্তিষ্কে ক্ষতি, কানে না শোনা, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাবসহ নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। কিন্তু এ ধরনের কোনো আক্রমণের বিষয়ে নিজেরাও সন্দিহান বলে জানায় কিউবা সরকার।
দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে পুনর্স্থাপিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে হাভানায় নিযুক্ত দূতাবাস পুনরায় চালু করে ওয়াশিংটন। ১৯২৮ সালের পর ২০১৬ সালে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিউবার সফর করেন ওবামা। এতে দু’দেশের সম্পর্কের পালে নতুন করে হাওয়া লাগে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ওবামার কিউবা নীতি কিছুটা বদলে ফেললেও জানান, তিনি হাভানায় নিযুক্ত দূতাবাস বন্ধ করবেন না। এই অবস্থার মধ্যেই এমন ‘রহস্যজনক আক্রমণ’ কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন আলোচনা তৈরি করে। শেষ তক কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা সম্পর্কে যুক্ত করলো নেতিবাচক মাত্রা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এইচএ/
** কিউবায় ‘সনিক অ্যাটাকে’ অসুস্থ ২১ মার্কিন দূতাবাস-কর্মী