বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে সিপিএন-ইউএমএল, সিপিএন-মাওবাদী কেন্দ্র ও নয়া শক্তি আন্দোলনের নেতৃত্বাধীন এই জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ইউএমএল প্রধান কে পি অলি, মাওবাদী কেন্দ্র প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্দ ও নয়াশক্তি আন্দোলনের প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. বাবুরাম ভট্টরাই উপস্থিত ছিলেন।
আত্মপ্রকাশের সময়ে জোটভুক্ত দলগুলো সমঝোতার ভিত্তিতে নিজেদের অবস্থান আরো পোক্ত করার অঙ্গীকার করেছে। শিগগিরই দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আসন্ন ২৬ নভেম্বর ও ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তারা প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে লড়বে।
নব গঠিত ৩৩ দলীয় জোটের সমন্বয়ক যুবরাজ সাফাল জানিয়েছেন, তাদের বাম জোট প্রগতিশীল শক্তি হিসেবে কাজ করবে। দেশের সব দেশপ্রেমিক ও বাম শক্তিকে নবগঠিক জোটের সঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
তাদের জোটে প্রেম বাহাদুর সিং এর সমাজবাদী জনতা দল এবং লোকমানি ধাকালের জনজাগরণ পার্টিও রয়েছে।
এর আগে ক্ষমতায় থাকা নেপালী কংগ্রেস জোটের শরিক মাওবাদী কেন্দ্র প্রধান বিরোধী দল সিপিএন-ইউএমএল এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার মাত্র এক দিনের মাথায় অন্তত ৫টি দলকে নিয়ে পাল্টা জোট গড়ার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীনরা।
এর মাধ্যমে কার্যত নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো বাম ও ডান এই দুই শিবিরে ভাগ হয়ে যায়।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কংগ্রেস প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সভাপতিত্বে নির্বাচনী জোট গড়তে একাট্টা হয় রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি, মাধেশি জনঅধিকার ফোরাম-লোকতান্ত্রিক, কামাল থাপার নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি, পশুপতি শমসের রানার নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি (প্রজাতান্ত্রিক) ও উপেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী ফোরাম।
ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের নেতৃত্বে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের কৌশল নির্ধারণে ৭ সদস্যের এক টাস্কফোর্স গঠন করে তারা।
এর ঠিক আগের দিন মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলন ডেকে বৃহত্তম বামপন্থি জোট গঠনের ঘোষণা দেয় নেপালের প্রধান দুই বাম শক্তি সিপিএন-ইউএমএল ও মাওবাদী কেন্দ্র। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এক সময়কার মাওবাদী নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাইয় এর নেতৃত্বাধীন নয়াশক্তি আন্দোলন।
উভয় জোটই মূলত নির্বাচনী গাঁটছড়া হলেও মাওবাদী কেন্দ্র প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্দ এবং কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-ইউনাইটেড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট (সিপিএন-ইউএমএল) নেতা কে পি অলি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল কার্যত একীভূত হওয়ার পথেই এগুচ্ছেন বলে আভাস মিলেছে।
একীভূত হওয়ার কাজ তদারকিতে ৮ সদস্যের এক কমিটিও করেছে বামপন্থিরা। একই প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তকে একীভূতকরণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৭
জেডএম/