তারা বলেছে, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশুরা ভুগছে তীব্র অপুষ্টিতে। এদের বেশিরভাগই ডায়রিয়া ও কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন ইউনিসেফ কর্মকর্তারা।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব হেলথ মায়া বানদেনান্তের পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত কক্সবাজারে ৫ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। এদের মধ্যে ২ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা উঠেছে নতুন স্থাপিত আবাসে। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে এসব অস্থায়ী আবাসে অবকাঠামোসহ পানি, পয়নিষ্কাশন এবং পরিচ্ছন্নতার সমস্যা বিদ্যমান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২৫ আগস্টের পর পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই শিশু এবং এরমধ্যে আবার ৩০ শতাংশ শিশুরই বয়স ৫ বছরের নিচে।
ইউনিসেফ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ডায়রিয়া ও কলেরার ঝুঁকি বাড়ছে উল্লেখ করে জানায়, গত সপ্তাহেই সেখানে ৫ হাজার ১১ জনের ডায়রিয়া শনাক্ত হয়েছে। আর ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের পুরনো-নতুন আবাস মিলিয়ে ওই এলাকার পানি, পয়নিষ্কাশন এবং পরিচ্ছন্নতা বা ওয়াশ কর্মসূচির উন্নয়নে ৩০০টি টিউবওয়েল ও ৩ হাজার টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।
ডায়রিয়া ও কলেরার মহামারি ঠেকাতে ইউনিসেফ একটি মোকাবেলা পরিকল্পনা শুরু করেছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
এইচএ/