সংস্থাটির মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান মার্ক লোকক এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মার্ক বলেন, এখনও রোহিঙ্গারা আসছেন। এটি থামেনি। আবারও তাদের ঢল নামার শঙ্কা রয়েছে। জাতিসংঘ সে হিসেবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
রোহিঙ্গা নিয়ে আরও নিউজ পড়ুন: অনেকেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে, বাংলাদেশ খুলেছে
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তা জোয়েল মিলম্যান একটি পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রতিদিন দুই হাজার করে রোহিঙ্গা এখনও বাংলাদেশে আসছেন।
সব মিলিয়ে আরও লাখ খানেক মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে বলেও জানাচ্ছে আইওএম।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যে জানা যায়, রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে ৪০০’র বেশি রোহিঙ্গা গ্রামের মধ্যে অর্ধেকের বেশি জ্বালিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধ মগরা। রাখাইন থেকে মুসলিম বিতাড়নের উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেছে। এখনও থেমে নেই জ্বালাও-পোড়াও। মার্ক লোকক এ প্রসঙ্গে বলেন, এমন পরিস্থিতি ‘অগ্রহণযোগ্য’।
আইওএম বলছে, এখন পর্যন্ত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই। কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল সেখানে কাজ করার সুযোগ না পাওয়ায় নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে না।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৭
আইএ